জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা এসেছি আছিয়ার মা-বাবাকে সহানুভূতি জানাতে, তাদের দোয়া নিতে এবং বুঝতে কীভাবে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানো যায়। আমরা চাই, এই ঘটনার বিচার দ্রুত সম্পন্ন হোক এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত হোক, যাতে এই পরিবার ও দেশের মানুষ সন্তুষ্ট হয়।’
শনিবার সকালে আছিয়ার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হেলিকপ্টারে করে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে অবতরণ করেন জামায়াতের আমির। সেখান থেকে সোনাইকুন্ডী গোরস্থানে গিয়ে আছিয়ার কবর জিয়ারত করেন। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পরে, সোনাইকুন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জামায়াতে ইসলামীর মাগুরা জেলা শাখার আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আছিয়ার ঘটনায় মামলার বিচারের জন্য যে ৯০ দিন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে, আমরা তা মেনে নিয়েছি। তবে সতর্ক করে দিতে চাই—এটা ৯১ দিন হলে আমরা মানবো না। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত না হলে এ ধরনের ঘটনা চলতেই থাকবে। বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনায় আগেও তেমন বিচার হয়নি। কিছু ক্ষেত্রে ফাঁসি কার্যকর হলেও বেশির ভাগ অপরাধী শাস্তি থেকে রেহাই পেয়ে গেছে। ধর্ষণের একমাত্র উপযুক্ত শাস্তি হলো ফাঁসি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে সাত দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করার দাবি তুলছেন। তবে আমরা মনে করি, মামলার কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে, যা সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। সে কারণে ৯০ দিনই যথাযথ সময়সীমা।’
পরে, জামায়াতের আমির জারিয়া গ্রামে আছিয়ার বাড়িতে যান এবং পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন। যদিও তখন আছিয়ার মা বাড়িতে ছিলেন না, তবে তিনি আছিয়ার খালা রোকেয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং পরিবারটির ভালোভাবে জীবনযাপনের জন্য সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হুসাইন, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক এম.বি বাকেরসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
0 Comments